স্বদেশ ডেস্ক: ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড মুখিয়ে রয়েছে। দুদলের সামনেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। যদি বিশ্বকাপ জিতে নিউজিল্যান্ড, পুরো দেশেই আনন্দের জোয়ার বইবে। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও আমরা ৮ উইকেটে হেরেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছিলাম আমরা। তবে এখনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়নি দল। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলংকা। আমি মনে করি, ঠিক একই কাজ করে দেখাবে নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে ১৯৯২ সালের পর আবারও ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। তারাও ঘরের মাঠে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামবে। নিউজিল্যান্ডকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন কেন উইলিয়ামসন। তার সঙ্গে রয়েছেন রস টেলর। দল ঐক্যবদ্ধভাবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। যদি তারা ফাইনাল জিততে পারে, তা হলে দল পরিপূর্ণতা পাবে। আমি মনে করি, ফাইনালে দুদলের সমান সুযোগ রয়েছে।
টুর্নামেন্টের শুরুতে বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, একটি দল যদি ভালো খেলে তা হলে যে কোনো দলকে হারাতে পারে। যদি সেটি দল করতে না পারে, তা হলে ব্যর্থ হবে। দুদলের অধিনায়ক জয়ের অঙ্ক কষছেন। পরস্পরকে সমীহ করেই মাঠে নামবে দল দুটি। আমার মতে, একই ধারায় খেলবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। উপভোগ্য একটি ম্যাচ হবে। ফাইনালের রোমাঞ্চ ছড়াবে সবার মাঝে।
অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কীভাবে সফল হতে হবেÑ সেই কৌশল আঁটছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ইয়ন মরগ্যান। এ দুই অধিনায়কের মধ্যে লড়াইও দেখতে পাবেন দর্শকরা। আমি মনে করি, টুর্নামেন্টে সেরা দুই অধিনায়ক তারা।
দুদলের ধারালো বোলিং আক্রমণ রয়েছে। সফল হতে হলে সেরাটা দিয়েই খেলতে হবে। নিউজিল্যান্ড দলের ছয় সদস্যের আগে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দারুণ সুযোগ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে খেলেছিলেন উইলিয়ামসন, টেলর ও গাপটিল। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে তারা তিন জন আছেন। চার বছর আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দারুণ কিছুই উপহার দেবেন তারা।
তবে টপ অর্ডারকে মোকাবিলা করতে হবে ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চারের চ্যালেঞ্জ। গত তিন-চার ম্যাচে দুর্দান্ত খেলছেন তারা। তবে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে নিউজিল্যান্ড। কীভাবে ম্যাচের শুরুটা করতে পারে দল, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে চ্যালেঞ্জ জয় করেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও টিম সাউদিরা। লর্ডসের ফাইনালে নিজেদের মেলে ধরতে নিশ্চয় মুখিয়ে আছেন তারা।